Saturday, January 10, 2009

এমন করে একলা ফেলে,

সব বন্ধন দূরে ঠেলে,

এইভাবেই কি চলে যেতে হয়?

ভাবলি না তো আমার কথা,

কার কাঁধেতে রাখব মাথা,

এমন একা এই অসময়।

 

আমি জানি তোর সব কার্যকারণ

সমস্ত আশা, সব আকাঙ্খা,

আমি শুনবো না তো তোর বারণ

করবই আমি তোর অপেক্ষা,

বলনা সব কথা আর সমস্ত গান,

সমস্ত রাগ সব অভিমান

এইভাবেই কি মুছে ফেলা যায়?

পুরনো সেই আড্ডাগুলো

জমছে হয়ে স্মৃতির ধূলো,

আমার দুচোখের পাতায়...

এইভাবেই কি চলে যেতে হয়?

 

আমার দেওয়া যত ব্যথা,

দিয়েও না রাখা কথা,

ক্ষমা না করে, করলি অভিমান

কথা দিয়েছিলি না?

তুই তো আর শুনে গেলি না

তোকে নিয়ে লেখা গান।

 

আমি জানি তোর সব কার্যকারণ

সমস্ত আশা, সব আকাঙ্খা,

আমি শুনবো না তো তোর বারণ

করবই আমি তোর অপেক্ষা,

বলনা সব কথা আর সমস্ত গান,

সমস্ত রাগ সব অভিমান

এইভাবেই কি মুছে ফেলা যায়?

পুরনো সেই আড্ডাগুলো

জমছে হয়ে স্মৃতির ধূলো,

আমার দুচোখের পাতায়...

এইভাবেই কি চলে যেতে হয়?

 

তোর কেরিয়ার গড়ার কারণ,

নাকি বাড়ির লোকের বারণ,

সে সব প্রশ্ন নেই মনে আমার

তোর স্বপ্ন সত্যি হবে যখন,

ভেবে কি তুই দেখবি তখন,

তোকে আমার কতটা দরকার?

তোর স্বপ্ন সত্যি হবে যখন,

ভেবে কি তুই দেখবি তখন,

আমাকে তোর কতটা দরকার?

তোর কলেজের বারান্দায়

             আজকের এই সন্ধ্যায়

এখনো কি সেই একই রকম আলো,

সেই একই আলো-আঁধার  

           একই আয়োজন শূন্যতার

যে স্মৃতিগুলো আজ এই ডাক পাঠালো।

 

আজও কত গান  আর অভিমান

খুঁজে ফেরে তোকে আর হেরে যায়,

যত প্রশ্ন তোর, নেই সমাধান

শুধু প্রশ্নচিহ্ন এঁকে যায়।

 

তোর কলেজের ঘড়িতে সাতটা তখন

তুই ব্যস্ত ভীষণ আর একা এ মন,

তবু দিচ্ছি ধৈর্যের পরীক্ষা অনুক্ষণ

রাখছি ঢেকে গহন রক্তক্ষরণ।

 

ঠিক আট্‌টা দশ, বিধ্বস্ত তুই

তবু ইচ্ছে হয়, তোকে একটু ছুঁই,

যদি মরে যাই আমি আজ রাতে

জানি প্রাপ্তি এটুকুই।

 

আজ এতোদিন পরে বৃথা আয়োজন

জানি না কেন এ পাগলামি তর্পণ,

বুঝি মহীরুহ হয়েছে সে এখন

সেদিনের কোনো শরীরি বপণ।

 

তুই বুঝি ভালো নেই আজ   

          আর সঙ্গ দিতেও নারাজ

তোর বিধিনিষেধ তোর যত শৃঙ্খল,

আজ আমার একলা ঘরে

         হাতছানি ঝরে পড়ে

তোর ঘরেও আজ বাঁধভাঙা জল।।